ChatGPT VS DeepSeek
ষষ্ঠ অধ্যায়: অতীতের পথে ফিরে দেখা (chatGPT)
সকাল থেকে আকাশটা একটু মেঘলা ছিল। গ্রামের শান্ত পরিবেশে আজ অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করছিল জামান সাহেবের মনে। কয়েকদিন হলো তিনি এখানে রয়েছেন, ধীরে ধীরে গ্রাম্য জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন।
আজ তিনি এক বিশেষ পরিকল্পনা করেছিলেন। সকালে উঠে চা পান করার সময় ছোট ভাইপো রাসেল এসে বলল, “চাচা, আজ কোথায় যাবেন?”
তিনি মৃদু হাসলেন, “আজ তোমার চাচাকে তার পুরনো দিনগুলোর পথে হাঁটতে দাও।”
রাসেল বুঝতে পারল না, তবে মাথা নেড়ে চলে গেল।
পুরনো বাড়ির পথে
জামান সাহেব গ্রামের সেই পুরনো বাড়ির পথে রওনা হলেন, যেখানে তার শৈশব কেটেছিল। অনেক বছর হয়ে গেছে এই পথ ধরে হাঁটেননি। গ্রামের মাটির রাস্তা, দু’পাশে ধানের ক্ষেত, তালগাছের সারি—সব কিছুতেই শৈশবের স্মৃতি জমা হয়ে আছে।
তিনি হাঁটতে হাঁটতে সেই পুরনো স্কুলের সামনে এসে দাঁড়ালেন। এই স্কুলেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। কাঠের বেঞ্চ, খোলা জানালা দিয়ে আসা বাতাস—সব কিছু যেন আজও ঠিক তেমনি আছে, শুধু সেই সময়টা বদলে গেছে।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তিনি আবার হাঁটতে শুরু করলেন। সামনে সেই পুরনো খেলার মাঠ, যেখানে বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ করতেন। এক মুহূর্তের জন্য তিনি যেন সময়ের সীমানা ভেঙে ছোট ছেলেটির মধ্যে ফিরে গেলেন, যে একসময় এখানে খেলত।
হঠাৎ করে পেছন থেকে একটা চেনা কণ্ঠ ভেসে এলো, “জামান ভাই, আপনি নাকি?”
তিনি ঘুরে দেখলেন, তার পুরনো বন্ধু কুদ্দুস! অনেক বছর পর তার সঙ্গে দেখা।
দুই বন্ধু একে অপরকে দেখে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে গেল। তারপর কুদ্দুস এগিয়ে এসে শক্ত করে জামান সাহেবের হাত ধরল, “তোমাকে দেখে বিশ্বাসই হচ্ছে না! কেমন আছো?”
“ভালো আছি, তবে অনেক বছর কেটে গেছে। তোমার কথা খুব মনে পড়ত,” আবেগমিশ্রিত কণ্ঠে বললেন জামান সাহেব।
দুই বন্ধু পাশাপাশি হাঁটতে শুরু করলেন। স্কুলের গল্প, গ্রামের খেলার স্মৃতি, বৃষ্টি ভেজার দিন—সব কিছু মনে পড়তে লাগল। কুদ্দুস জানাল, সে এখনো গ্রামেই থাকে, কৃষিকাজ করে।
গ্রামের জীবন আর বাস্তবতা
দুজন গ্রামের পথে হেঁটে যেতে যেতে দেখলেন গ্রামের জীবন কতটা বদলে গেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তবে মাটির ঘর, পুকুরপাড়ের চায়ের দোকান, সব কিছুতে একধরনের স্নিগ্ধতা রয়ে গেছে।
একটি চায়ের দোকানে বসে তারা দু’জন চা খেলেন। কুদ্দুস বলল, “তুই কি আবার শহরেই ফিরে যাবি, নাকি এবার গ্রামেই থাকবি?”

জামান সাহেব মৃদু হাসলেন, “এখনো ঠিক করিনি। তবে গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এখানে কিছু করতে চাই।”
কুদ্দুস খুশি হলো, “তাহলে ভালো হয়। আমাদের গ্রামের জন্য অনেক কিছু করা দরকার।”
নতুন পরিকল্পনার শুরু
বিকেলে জামান সাহেব বাড়ি ফিরে নোটবুক খুললেন। আজকের দিনের অভিজ্ঞতা তাকে অনেক ভাবতে বাধ্য করল। তিনি বুঝতে পারলেন, শহুরে জীবনে ব্যস্ততার মাঝে জীবনের আসল সৌন্দর্য হারিয়ে যায়, কিন্তু গ্রামের মানুষের সরলতা, সম্পর্কের উষ্ণতা এখনো রয়ে গেছে।
তিনি লিখলেন:
১. গ্রামের তরুণদের জন্য একটা পাঠাগার তৈরি করতে হবে।
২. স্কুলের জন্য কিছু দরকারি জিনিস জোগাড় করতে হবে।
৩. গ্রামের উন্নয়নে কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
নোটবুক বন্ধ করে তিনি বারান্দায় এসে বসে পড়লেন। আকাশে সন্ধ্যার আলো ছড়িয়ে পড়েছে, গ্রামের বাতাসে একধরনের শীতলতা। তিনি অনুভব করলেন, জীবনের নতুন মানে খুঁজে পাওয়া শুরু হয়েছে।
(চলবে…)
ষষ্ঠ অধ্যায়: নতুন অধ্যায়ের সূচনা (DeepSeek)
গ্রামের সকালটা যেন এক অন্যরকম প্রশান্তি নিয়ে এল। জামান সাহেব ভোরবেলা উঠে গেলেন। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙল, আর সূর্যের প্রথম আলোয় গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটতে বের হলেন। গ্রামের মাটির গন্ধ, ধানের ক্ষেতের সবুজ আর দূরের পাহাড়ের রেখা তাকে যেন নতুন করে জাগিয়ে তুলল।
গ্রামের বাড়িতে ফিরে তিনি ছেলে জিয়াদকে বললেন, “জিয়াদ, আজ আমি গ্রামের স্কুলে যাব। দেখতে চাই সেখানে কী করা যায়।”
জিয়াদ হাসল, “বাবা, আমি আপনার সাথে যাব। আমিও কিছু করতে চাই।”
স্কুলে পৌঁছে তারা দেখলেন, স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। ছোট ছোট শিশুরা মাটির মেঝেতে বসে পড়াশোনা করছে। ক্লাসরুমের জানালা ভাঙা, ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। জামান সাহেবের চোখে জল এসে গেল। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললেন।
“আমি এই স্কুলের জন্য কিছু করতে চাই। শিশুদের জন্য একটি লাইব্রেরি তৈরি করতে চাই। আপনি কী বলেন?”
শিক্ষক খুশি হয়ে বললেন, “জামান সাহেব, আপনার মতো কেউ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আমাদের শিশুরা অনেক উপকৃত হবে।”
জামান সাহেব নোটবুকে লিখে রাখলেন:
১. স্কুলের জন্য নতুন বই ও ফার্নিচার কেনা।
২. লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা।
৩. শিশুদের জন্য মাসিক শিক্ষা কর্মশালার আয়োজন।
গ্রামের মানুষজন যখন জানলেন জামান সাহেব স্কুলের জন্য কাজ করতে চান, সবাই এগিয়ে এলেন। এক বৃদ্ধ কৃষক বললেন, “জামান ভাই, আমরা সবাই আপনার সাথে আছি। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে আপনি যা করবেন, আমরা আপনাকে সাহায্য করব।”
দিন কেটে গেল পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায়। সন্ধ্যায় জামান সাহেব গ্রামের পুকুর পাড়ে বসে আবার ভাবলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, এই গ্রামই তার নতুন জীবনের সূচনা। এখানে তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও কিছু করতে পারবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে তিনি লিস্টটা আবার খুললেন। এবার তিনি নতুন কিছু যোগ করলেন:
১. গ্রামের স্কুল উন্নয়ন।
২. গ্রামের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।
৩. গ্রামের পরিবেশ উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া।
তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এবার তিনি শুধু নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন না, গ্রামের মানুষের স্বপ্নকেও সত্যি করবেন।
পরের দিন সকালে তিনি জিয়াদকে বললেন, “জিয়াদ, এবার আমরা সত্যিই কিছু বদলাতে পারব। এই গ্রামই আমাদের নতুন শুরু।”
জিয়াদ হাসল, “বাবা, আমি আপনার সাথে আছি। আমরা একসাথে সব কিছু করব।”
জামান সাহেবের মনে হলো, জীবনের আসল আনন্দই হলো অন্যের মুখে হাসি ফোটানো। এবার তিনি সেই আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন।
(চলবে…)








