দ্বিতীয় অধ্যায়: নতুন সিদ্ধান্ত
সকাল হতে না হতেই জামান সাহেব উঠে পড়লেন। সাধারণত তিনি এই সময় ঘুমিয়ে থাকেন, কিন্তু আজ যেন এক অদ্ভুত শক্তি উনার মনকে আলোড়িত করছে। ঘরের বাইরে গিয়ে বারান্দায় বসলেন। সকালবেলার তাজা বাতাস আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ তাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল।
তিনি ভাবতে লাগলেন বুলবুল সাহেবের প্রস্তাব নিয়ে। ছয় মাসের প্রজেক্ট, আবারো অফিসে ফেরা, কাজের ব্যস্ততা—সব কিছু মিলিয়ে মনের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। এতদিন ধরে যে লিস্টটা করেছেন, সেটার কাজগুলো কি তবে আর করা হবে না?
বউয়ের কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন, “চা নিয়ে আসি?”
“না, থাক। আজ চা লাগবে না,” জামান সাহেব উত্তর দিলেন। মনটা আজ কাজের জন্য উদগ্রীব। তিনি দ্রুত বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলেন।
নাস্তার টেবিলে ছেলে মেয়ে, বউ সবাই বসেছে। জামান সাহেব বসে থাকতে না পেরে বললেন, “শুন, আমি একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সবাই অবাক হয়ে তার দিকে তাকাল। ছেলে মেয়ে সবাই প্রায় একসঙ্গে বলল, “কী সিদ্ধান্ত, বাবা?”
“বুলবুল সাহেব গতকাল যে প্রজেক্টের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটা আমি গ্রহণ করেছি। ছয় মাসের কাজ। আমি আবার অফিসে যাচ্ছি।”
বউ মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, “এটাই তো চাইছিলাম। তুমি বাসায় বসে থেকে কেমন অস্থির হয়ে যাচ্ছিলে। কাজ করলে মনের প্রশান্তি পাবে।”
ছেলে বড়জন বলল, “ঠিক বলেছ, বাবা। আবার কাজে যোগ দাও। তোমার অভিজ্ঞতা আমাদের সবার জন্য খুবই প্রয়োজন।”
জামান সাহেব মন থেকে একটা ভারী পাথর নেমে গেল। এতদিনের অস্থিরতা, একাকিত্ব সব কিছুই যেন হালকা হয়ে গেল। তিনি ভাবলেন, “হ্যাঁ, নতুন করে শুরু করা যাক। কাজের মধ্যেই তো জীবনের আসল আনন্দ।”
দুপুরে তিনি বুলবুল সাহেবকে ফোন করে জানালেন তার সিদ্ধান্ত। বুলবুল সাহেব খুশিতে আত্মহারা। “বাহ, জামান ভাই! আপনি ফিরে আসবেন শুনে খুবই ভালো লাগল। ছয় মাসের এই প্রজেক্টে আপনার মতো অভিজ্ঞ মানুষের খুব দরকার।”
জামান সাহেব মনে মনে ভাবলেন, এই ছয় মাস কাজে মন দিয়ে তিনি সব কিছু নতুন করে গুছিয়ে নেবেন। আবার নিজের জন্য সময় বের করে বন্ধুদের সাথে দেখা করবেন, গ্রামে ঘুরতে যাবেন। সব কাজই হবে, শুধু একটু সময়ের ব্যবধানে।
সন্ধ্যায় তিনি আবার বারান্দায় বসলেন। আজ মাগরিবের আজানের সময় তার মনে ছিল শান্তি। নামাজ শেষে তিনি ধীরে ধীরে গ্রামের স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন। নতুন জীবনের প্রত্যাশায়, নতুন দিনের অপেক্ষায়।
রাত গভীর হলে তিনি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিনি লিস্টটা আবার খুলে দেখলেন। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এবার সব কিছুই হবে। জীবনের প্রতিটি দিন নতুন করে উপভোগ করবেন। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলেন জামান সাহেব, মনে এক অদ্ভুত শান্তি নিয়ে।
এই পর্বটি ChatGPT দিয়ে লেখা হয়েছে।








