গ্রাম থেকে প্রথমে ঢাকার শনির আখড়াতে আসা হয় এবং A.K. High School & College এ সপ্তম ক্লাসে ভর্তি হই। প্রথম দিন সম্পর্কে মামা হয়, উনিও A.K School পড়তো, উনার সাথে প্রথম দিন স্কুলে আসি। আমার ভর্তি কাগজে শাখা লেখাটা স্পষ্ট ছিল না। সবার হাতে সেইদিন মার্ক সিট ছিল কিন্তু আমি সেটা বুঝতে পারি নাই। মনে মনে ভাবতেছিলাম আমাকে তো এই নীল কাগজ দেয় নায়।
ভুলে আমি অন্য শাখাতেই চলে যাই। তারপর সবার নাম ডাকার পর আমি স্যারের সাথে কথা বলে বুঝতে পারি ভুল শাখাতে চলে আসছি। কিন্তু স্যার ভালোভাবে বুঝায় দেয়নি কোথায় যাব, শুধুমাত্র বলছে শাখার নামটা। মামা তো চলে গেছে, এখন আমি কি করব তাই ভাবতেছিলাম। বলে রাখা ভালো ক্লাস সেভেনেই ৭ টা শাখা ছিল, আমার শাখা ছিল “ছ” এবং রোল ছিল ১৭, পরবর্তিতে আমরা একি রোলের ২ জন ছিলাম। পরে আমি শাখা খুঁজে বের করতে পেরেছিলাম। আমার আগের ডায়রিগুলি বের করলে হয়ত অনেক কথা মনে পড়বে। অনেক ছাত্র ছিল স্কুলে, আর এই স্কুলে ভর্তি হওয়ার মানে কোন না কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার। প্রায় সব স্যারের কোচিং সেন্টার ছিল।
প্রথম দিনের ক্লাস নিয়ে এখন আর কিছুই মনে নেই। কিন্তু সকাল থেকে কোচিং করতাম, তারপর স্কুলের ক্লাস করতাম। এরপর বাসায় আসতাম। গ্রাম থেকে এসে একটা যান্ত্রিক সিস্টেমে মধ্যে ডুকে যাই। ভালো স্মৃতির কথাগুলি মনে করার চেস্টা করলে শুধু গ্রামের স্মৃতিগুলিই মনে পরে।










